এনজিও কর্মী ইমরান ছাদেক বাপ্পির ছদ্মবেশে ইয়াবা সাম্রাজ্য! সিন্ডিকেটে চলে পাচার কার্যক্রম
️ নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম পাগলির বিল ২নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা, ইমরান সাদেক বাপ্পির (২৬) বিরুদ্ধে মাদকের গডফাদার হিসেবে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে । অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় সিএনজি চালক আবুল কালামের ছেলে ইমরান সাদেক বাপ্পি মাত্র চার বছরের ব্যবধানে বদলে গেছেন এক ‘মাদক গডফাদারে’। এনজিওতে সামান্য বেতনের চাকরি করলেও, অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ইয়াবা কারবারের এক ভয়াবহ চিত্র।
পশ্চিম পাগলির বিলের বাসিন্দা ইমরান সাদেক বাপ্পি মধুরছড়া ক্যাম্প ৪-এ অবস্থিত হোপ ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বনামধন্য এনজিও হাসপাতালে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা বেতনে কর্মরত। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন—তার নেতৃত্বে একই এনজিও সংস্থার ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট নিয়মিত অফিসের গাড়ি ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে।
তবে এর ইমরানের আর্থিক উত্থান রীতিমতো বিস্ময়কর। মাত্র কয়েক বছরে তিনি কুতুপালং এলাকায় কোটি টাকা বিনিয়োগে ডিমের গোদাম গড়েছেন, কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ক্রয় করেছেন একাধিক গাড়ি। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে শেয়ার হোল্ডার হয়ে ইনভেস্ট করছেন। অথচ তার প্রধান পরিচয়-একজন এনজিও কর্মী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসাকে আড়াল করতে ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, যাতে আয়ের উৎস বৈধ দেখানো যায়। এনজিও পরিচয়ে চক্রটি সহজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারছে
পাগলির বিলের সচেতন মহল বলছে, যেখানে একটি এনজিও হসপিটালের কর্মী এমন ভয়াবহ মাদক নেটওয়ার্কে জড়িত, সেখানে মাদকবিরোধী লড়াই কীভাবে সফল হবে? তারা প্রশ্ন তুলছেন, সামাজিক সেবার ছদ্মবেশে এই ধরনের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ কোথায়?
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইমরান সাদেক বাপ্পিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে হোপ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“আমাদের কাছে এই বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ এসেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে জিরো টলারেন্স নীতিতে ব্যবস্থা নেব।”
দেশজুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলা হলেও, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে ইয়াবা সিন্ডিকেটের মদদে তরুণ সমাজ ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। এনজিও-ভিত্তিক এই সিন্ডিকেট জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
যদি সামাজিক সেবার মুখোশে ইয়াবা ব্যবসার এমন ভয়ংকর চিত্র প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে যায়, তবে দেশের ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়াবে? এখন সময়, এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ছদ্মবেশী গডফাদাররা সমাজকে নীরবে গিলে ফেলবে।