কক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করায় অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমানের পদত্যাগ, ক্রীড়া কমিটি ও অভিনয়কারী ছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।
অধ্যক্ষকে অপসারণ করা না হলে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
বুধবার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও কক্সবাজার কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক।
এতে দাবি করা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করায় জড়িত কলেজ অধ্যক্ষ সোলাইমান, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল মোস্তফা ভুলু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ফারুকী, বিচারক যথাক্রমে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুফিজুল আলম ও প্রতিযোগী সাদিয়া সুলতানা সৌরভী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারা গত ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজার কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি দিলে অধ্যক্ষ সোলায়মান পূর্বপরিকল্পিতভাবে শত শত অছাত্র, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে কলেজের ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে জড়ো করে রাখেন এবং ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে তিনি ওই পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ হাবিব, সাবেক কলেজ সভাপতি আবদুল করিম, সাবেক সহসভাপতি নাছির উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক প্রমুখ।