প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টাকে প্রশ্রয় দেবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, খুনিরা যদি কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ আয়োজন করে, তাহলে জনগণ তার কঠোর জবাব দেবে।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি লেখেন, ‘অগাস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কখনো কোনো ন্যায্য বিক্ষোভ বন্ধ করেনি বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা জনগণের সমাবেশ ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, গত সাড়ে পাঁচ মাসে কেবল ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে, যার মধ্যে কিছু বিক্ষোভ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও সরকার বিক্ষোভের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।’
তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমরা কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিতে পারি? জুলাই-আগস্টের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে শত শত শিক্ষার্থী এবং নাবালক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলীয় সরকার গণহত্যা, খুন ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী।’
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা না চাইবে, দোষী ব্যক্তিরা বিচারব্যবস্থার সামনে আত্মসমর্পণ না করবে, বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে দল নিজেকে আলাদা না করবে, ততদিন তাদের কোনো বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিল?’
তিনি আরও লেখেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ কি খুনিদের এবং দুর্নীতিবাজদের আবার ক্ষমতায় ফিরতে দেবে? কোনো দেশই জবাবদিহিতা ছাড়া অপরাধীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ খুনিরা যদি কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে তার কঠোর জবাব দেবে। আওয়ামী লীগের ব্যানারে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভের চেষ্টা করে, তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোহাম্মদ রাশেদ
যোগাযোগঃ 01332784449
ইমেইলঃ ukhiaprotidin@gmail.com
© সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত উখিয়া প্রতিদিন-২০২৫ ইং