1. b4582c9923ca0880dea522bce41d3686 : UProtidin :
শিরোনামঃ
দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, শাহজাহান চৌধুরী। বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত–আহতদের স্মরণে দোয়া ও সচেতনতামূলক সভা আয়োজন ভাই ভাই যুবকল্যাণ সমিতির উখিয়ার আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ কোটবাজারে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষক মহলে উদ্বেগ এনজিও কর্মী ইমরান ছাদেক বাপ্পির ছদ্মবেশে ইয়াবা সাম্রাজ্য! সিন্ডিকেটে চলে পাচার কার্যক্রম কক্সবাজারে সালাহ উদ্দিন আহমেদ’কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে উখিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। জাবেদ রেজার হাত ধরে বান্দরবান বিএনপির হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে, ঘুমধুমে মাওলানা নুরুল হাসান আযাদ। বদি ঘনিষ্ঠ গফুর মেম্বার গ্রেফতার, রত্নাপালংয়ে ভোট দখল ও ত্রাসের অধ্যায়ের অবসান। কক্সবাজারে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন বাহিনীর আরো দুই সদস্য গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫ উখিয়ার ধুরুমখালীতে বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেটসহ দুইজন আটক করেছে পুলিশ উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
শিরোনামঃ
দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন, শাহজাহান চৌধুরী। বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত–আহতদের স্মরণে দোয়া ও সচেতনতামূলক সভা আয়োজন ভাই ভাই যুবকল্যাণ সমিতির উখিয়ার আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ কোটবাজারে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষক মহলে উদ্বেগ এনজিও কর্মী ইমরান ছাদেক বাপ্পির ছদ্মবেশে ইয়াবা সাম্রাজ্য! সিন্ডিকেটে চলে পাচার কার্যক্রম কক্সবাজারে সালাহ উদ্দিন আহমেদ’কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে উখিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। জাবেদ রেজার হাত ধরে বান্দরবান বিএনপির হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে, ঘুমধুমে মাওলানা নুরুল হাসান আযাদ। বদি ঘনিষ্ঠ গফুর মেম্বার গ্রেফতার, রত্নাপালংয়ে ভোট দখল ও ত্রাসের অধ্যায়ের অবসান। কক্সবাজারে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীন বাহিনীর আরো দুই সদস্য গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫ উখিয়ার ধুরুমখালীতে বিপুল পরিমাণ বার্মিজ সিগারেটসহ দুইজন আটক করেছে পুলিশ উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

মুজিবের অভিশপ্ত ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়িতে মানুষের ঢল

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২২৮ বার পঠিত

শেখ মুজিরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ি দেখতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। ঢাকাসহ আশেপাশের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে।

চার বছরের শিশু আফিয়া থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধ, প্লে গ্রুপের ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাদ যাননি কেউই। সবাই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে এসেছেন।

অনেকেই বলেছেন এই অভিশপ্ত ভবনটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে। নরসিংদী থেকে এসেছেন গৃহিনী নাসিমা আক্তার ৪ শিশু বাচ্চাকে নিয়ে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের জন্মদাতা শেখ মুজিবের অপরাধের আখড়াস্থলের সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ পরবর্তী প্রজন্মকে দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আবির এসেছেন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়েন তিনি। প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী আহনাফকে নিয়ে এসেছেন তার মা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন জানতে পারে, এই ভবনেই বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি। এখানেই যেন ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়, সেটাই প্রত্যাশা।

হামিম মাদ্রাসার ছাত্র এয়ারপোর্ট থেকে এসেছেন, তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান। এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। তিনি বলেন, আমি মনে করি এদেশের মানুষের কাছে ২টি নম্বর তাৎপর্যপূর্ণ। ১টি ৩২ অন্যটি ৩৬ (৩৬ জুলাই)। শেখ হাসিনা তথা শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি গণহত্যার প্রতীক। ৩৬ বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রতীক। এই বাড়িটা শুধু ভেঙে দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকলে হবে না, এখানে একটি পাবলিক টয়লেট বানানো হবে। তাহলে এটা সারা বিশ্বের স্বৈরশাসকদের, গণহত্যকারীদের জন্য এটা শিক্ষা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, আশীর্বাদের পতনের চিহ্ন এখানে রেখে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সচিবালায় কর্মরত প্রথম শ্রেণীর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গতরাতে আসতে পারিনি, তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলে আসলাম। আসলে শেখ হাসিনার পতন তার বাবার মত অনিবার্যই ছিল, হয়তো একটু সময় বেশি লেগেছে।

অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংকার জানান, রামপুরা আফতাবনগরে থাকেন তিনি। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এ দেশের মানুষকে সংঘর্ষের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন। শেখ হাসিনার অনুশোচনা হচ্ছে না, সেটা দেখে আমার অনুশোচনা হয়, জানালেন বর্ষিয়ান এই নাগরিক।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এত বাড়াবাড়ি করছে, এজন্য তার পতন ছাড়া উপায় ছিল না। তিনি নিজে ডুবলো দেশবাসিকে ডুবাইলো, তার বাবাকে ডুবাইলো, দলটাকে ডুবাইলো।

৭০ বছর বয়সী ইউনুস বলেছেন, হাসিনার ১৬ বছরের গণহত্যাসহ নির্মমতার প্রতীক এই বাড়ি দেখতে এসেছেন। সাড়ে চার বছর বয়সী আফিয়া এসেছে তার মা এবং খালামণির সঙ্গে।

আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাজ্জাদ হোসেন জানান, শেখ মুজিবের অবৈধভাবে দখল করা বাড়িটি পাবলিক টয়লেট বানানো দরকার। কলেজ শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার বলেন, এক দফা এক দাবি- বাড়িটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে হবে।

বুধবার রাত ১১ টার দিকে ফ্যাসিবাদের আঁতুড় ঘরখ্যাত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের অভিশপ্ত ভবনটির দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। রাত ১১ টা ১৭ মিনিটে দেয়াল ভাঙার কাজ শেষ হলে ভিতরে প্রবেশ করে এসকেভেটর।

এ সময় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা স্লোগান এবং বিপুল করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ‘ফ্যাসিবাদের আতুর ঘর ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’।

এর আগে বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি বাংলাদেশের জন্য অভিশপ্ত আখ্যা দিয়ে ওই বাড়িতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জড়ো হন।শেখ মুজিরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ি দেখতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। ঢাকাসহ আশেপাশের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে।

চার বছরের শিশু আফিয়া থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধ, প্লে গ্রুপের ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাদ যাননি কেউই। সবাই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে এসেছেন।

অনেকেই বলেছেন এই অভিশপ্ত ভবনটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে। নরসিংদী থেকে এসেছেন গৃহিনী নাসিমা আক্তার ৪ শিশু বাচ্চাকে নিয়ে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের জন্মদাতা শেখ মুজিবের অপরাধের আখড়াস্থলের সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ পরবর্তী প্রজন্মকে দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আবির এসেছেন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়েন তিনি। প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী আহনাফকে নিয়ে এসেছেন তার মা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন জানতে পারে, এই ভবনেই বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি। এখানেই যেন ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়, সেটাই প্রত্যাশা।

হামিম মাদ্রাসার ছাত্র এয়ারপোর্ট থেকে এসেছেন, তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান। এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। তিনি বলেন, আমি মনে করি এদেশের মানুষের কাছে ২টি নম্বর তাৎপর্যপূর্ণ। ১টি ৩২ অন্যটি ৩৬ (৩৬ জুলাই)। শেখ হাসিনা তথা শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি গণহত্যার প্রতীক। ৩৬ বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রতীক। এই বাড়িটা শুধু ভেঙে দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকলে হবে না, এখানে একটি পাবলিক টয়লেট বানানো হবে। তাহলে এটা সারা বিশ্বের স্বৈরশাসকদের, গণহত্যকারীদের জন্য এটা শিক্ষা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, আশীর্বাদের পতনের চিহ্ন এখানে রেখে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সচিবালায় কর্মরত প্রথম শ্রেণীর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গতরাতে আসতে পারিনি, তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলে আসলাম। আসলে শেখ হাসিনার পতন তার বাবার মত অনিবার্যই ছিল, হয়তো একটু সময় বেশি লেগেছে।

অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংকার জানান, রামপুরা আফতাবনগরে থাকেন তিনি। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এ দেশের মানুষকে সংঘর্ষের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন। শেখ হাসিনার অনুশোচনা হচ্ছে না, সেটা দেখে আমার অনুশোচনা হয়, জানালেন বর্ষিয়ান এই নাগরিক।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এত বাড়াবাড়ি করছে, এজন্য তার পতন ছাড়া উপায় ছিল না। তিনি নিজে ডুবলো দেশবাসিকে ডুবাইলো, তার বাবাকে ডুবাইলো, দলটাকে ডুবাইলো।

৭০ বছর বয়সী ইউনুস বলেছেন, হাসিনার ১৬ বছরের গণহত্যাসহ নির্মমতার প্রতীক এই বাড়ি দেখতে এসেছেন। সাড়ে চার বছর বয়সী আফিয়া এসেছে তার মা এবং খালামণির সঙ্গে।

আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাজ্জাদ হোসেন জানান, শেখ মুজিবের অবৈধভাবে দখল করা বাড়িটি পাবলিক টয়লেট বানানো দরকার। কলেজ শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার বলেন, এক দফা এক দাবি- বাড়িটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে হবে।

বুধবার রাত ১১ টার দিকে ফ্যাসিবাদের আঁতুড় ঘরখ্যাত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের অভিশপ্ত ভবনটির দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। রাত ১১ টা ১৭ মিনিটে দেয়াল ভাঙার কাজ শেষ হলে ভিতরে প্রবেশ করে এসকেভেটর।

এ সময় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা স্লোগান এবং বিপুল করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ‘ফ্যাসিবাদের আতুর ঘর ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’।

এর আগে বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি বাংলাদেশের জন্য অভিশপ্ত আখ্যা দিয়ে ওই বাড়িতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জড়ো হন।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত উখিয়া প্রতিদিন-২০২৫ ইং
Site Customized By NewsTech.Com