রামুর খুনিয়াপালং এক প্রাইভেট কারের ধাক্কায় তিন অটোরিকশায় ৭ জন আহত - নিহত - ১

মাহবুব আলম মিনার -কক্সবাজার

রামুর খুনিয়াপালং সড়ক দূর্ঘটনায় মোহাম্মদ আয়ুব আলী (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয় । একেই ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচেছ বলে জানা যায় । চিকিৎসারত ৭ জনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী কে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানান আহতের পরিবার। দূর্ঘটনায় মৃত আয়ুব আলী খুনিয়াপালং ৪ নাম্বার ওয়ার্ড ধপছুয়াপালং এর স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন ও মেহের খাতুন এর বড় ছেল। অপর টমটমে থাকা যাত্রী বদি আলম (৫০) ও তার ছেলে মুক্তার (১৭) গুরুত্বর আহত হয়ে কক্সবাজারে চিকিৎসাদ্বীন রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারী জুমাবার ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় রামু-মরিচ্চা প্রধান সড়কের খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে দ্রুত গতির একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় একে একে তিন টি অটোরিকশা দুমড়ে-মুছড়ে খালে পড়ে যায়। এসময় ঘটনা স্থলে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয় একেই সাথে ঐ কারের ধাক্কায় অপর দুই টমটম চাকল সহ ৭ জন গুরুত্বর আহত হয় বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কার চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে এই দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। স্থানীয়দের সন্দেহ কার চালক নেশাগ্রস্ত হয়ে একাই গাড়ি দ্রুত চালিয়ে রামু থেকে উখিয়া যাচ্ছিল প্রাইভেট কারে চালক একা ছিলেন । ঘটনার পরপর বিজিবি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসলে এসময় স্থানীয়দের উত্তেজনা দেখে কার চালক কে বিজিবিরা গাড়িতে তুলে প্রাণে রক্ষা করে বলেও জানা যায় । কার চালক কে চিন্তে পারছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় রফিক নামে একজন জানান গাড়ি চালক উখিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরীর মেয়ের জামাই বলে জানান । অন্যান্য আহতদের স্হানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়েছে কি না জানতে অফিসার ইনচার্জ রামু কে মোটোফোনে কল দেওয়া হলে - তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন - ঘটনা জেনেছি প্রাইভেট কার টি ও থানা হেফাজতে রেখেছি কিন্তু আহত বা নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনো দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি । এদিকে মৃত্যু আয়ুব আলীর বড় ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২০) জানান তার বাবা মরিচ্চা থেকে ধেছুয়াপালং অটোরিকশা নিয়ে আসতেছিল তখন দ্রুত গতিতে বেপরোয়া হয়ে কার টি এসে একে একে তিন টি অটোরিকশা কে আঘাত করে এসময় তার বাবার অটোরিকশা টিতে বেশি আঘাত হয়ে দুমড়েমুচড়ে খালে পড়ে এবং ঘটনা স্থলে মারা যান তার বাবা। তিনি আরেও জানান গাড়ি চালকরা যাতে এইভাবে বেপরোয়া বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি না চালায় তার মত যেন কাউকে বটবৃক্ষ নামক বাবা কে হারাতে না হয়।