রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
প্রতিবছরের মতো, এই বছরও রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির উদ্যোগে ২২ মার্চ, ২১ রমজান, শনিবার রুহুল্লার ডেবা এলাকায় এক বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহৎ আয়োজনটি স্থানীয় মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ঐক্য ও সামাজিক সংহতির এক সুন্দর দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ বশির আহমদ সাহেব, খতিব, চকরিয়া সোসাইটি জামে মসজিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবুল ফজল সাহেব,এবং সভাপতিত্ব করেন,জনাব আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাকটর,সাবেক চেয়ারম্যান, ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ
এসময় প্রধান বক্তা হাফেজ বশির আহমদ সাহেব বক্তব্যে রমজান মাসের মাহাত্ম্য এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ দোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মাহফিলের শুরুতে, মাওলানা বশির আহমদ সাহেব মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ইসলামের শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেন। তিনি বিশেষভাবে এলাকার কবরবাসীদের জন্য দোয়া করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তার বক্তব্যের পর, উপস্থিত মুসল্লিরা একযোগে মোনাজাত করেন।
প্রধান বক্তা তার বক্তব্য শেষ করে মুসল্লিদের ইফতারের প্রস্তুতির জন্য আহ্বান করেন। একে একে, রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির সদস্যরা সংগঠিত হয়ে এলাকার প্রায় ১০০০ জন মুসল্লির জন্য ইফতার প্রদান করেন। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, যারা অনুষ্ঠানটির সফল আয়োজনে সংগঠনের সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মাহফিলের শেষে, এলাকার জনগণ আয়োজকদের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষত, বাহির থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিরাও আয়োজনের সাফল্য এবং সংগঠনের পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। এই ধরনের উদ্যোগ যে সমাজে ধর্মীয় ঐক্য এবং সামাজিক সংহতির দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক, তা তারা মন্তব্য করেন।
এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে, রুহুল্লার ডেবা এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে রমজান মাসের বরকত লাভের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণ, মানবতার সেবা এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ দোয়া করেন। উপস্থিত সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার গ্রহণ করেন, এবং এই আধ্যাত্মিক মুহূর্তটি সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দময় ও স্মরণীয় হয়ে থাকে।
এ আয়োজনে শুধু ধর্মীয় অনুভূতির প্রকাশ নয়, সামাজিক বন্ধনও দৃঢ় হয়েছে। এলাকাবাসী একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রকাশ করে, আর এই ধরনের মাহফিল সামাজিক উন্নতির জন্য এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।
ইফতার মাহফিলের শেষে উপস্থিত মুসল্লিরা একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং এই ধরনের আয়োজনে আরো একত্রিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।