1. b4582c9923ca0880dea522bce41d3686 : UProtidin :
শিরোনামঃ
সাবেক সেনা সদস্য ‘শাহিন ডাকাতের ছায়া সৈনিক’ আশিক তালুকদার আটক। উখিয়ায় দিনদুপুরে চাঞ্চল্যকর চুরি, মাষ্টার আবুল কালামের ঘর থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা ও ৩৩ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুট উখিয়া’র কুতুপালংয়ে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত দুর্বৃত্তদের আগুনে সর্বস্বান্ত, ৬ সন্তান নিয়ে খোলা আকাশে নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন খোরশেদ আলমের পরিবার ভালোবাসা যখন রাজনীতির ছায়া, চেয়ার তখন নিঃশব্দ এক প্রতীক রত্নাপালং কামরিয়া বিলে বন্যার পানিতে সড়কে ভয়াবহ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কায় এলাকাবাসী কনস্টেবল নিয়োগে মেধাই হবে একমাত্র মানদণ্ড উখিয়া থানার ওসি আরিফ মাহমুদের সতর্কবার্তা উখিয়ায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে, নিহত মনজুর ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী! জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই! উখিয়ায় জীপ-মাইক্রো সমবায় সমিতির আয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত: র‍্যালি ও বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শিরোনামঃ
সাবেক সেনা সদস্য ‘শাহিন ডাকাতের ছায়া সৈনিক’ আশিক তালুকদার আটক। উখিয়ায় দিনদুপুরে চাঞ্চল্যকর চুরি, মাষ্টার আবুল কালামের ঘর থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা ও ৩৩ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুট উখিয়া’র কুতুপালংয়ে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত দুর্বৃত্তদের আগুনে সর্বস্বান্ত, ৬ সন্তান নিয়ে খোলা আকাশে নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন খোরশেদ আলমের পরিবার ভালোবাসা যখন রাজনীতির ছায়া, চেয়ার তখন নিঃশব্দ এক প্রতীক রত্নাপালং কামরিয়া বিলে বন্যার পানিতে সড়কে ভয়াবহ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কায় এলাকাবাসী কনস্টেবল নিয়োগে মেধাই হবে একমাত্র মানদণ্ড উখিয়া থানার ওসি আরিফ মাহমুদের সতর্কবার্তা উখিয়ায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে, নিহত মনজুর ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী! জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই! উখিয়ায় জীপ-মাইক্রো সমবায় সমিতির আয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত: র‍্যালি ও বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সাবেক সেনা সদস্য ‘শাহিন ডাকাতের ছায়া সৈনিক’ আশিক তালুকদার আটক।

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ৮৯ বার পঠিত

সাবেক সেনা সদস্য ‘শাহিন ডাকাতের ছায়া সৈনিক’ আশিক তালুকদার আটক।

 

মোহাম্মদ রাশেদ :উখিয়া প্রতিনিধি

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল শাহিন ডাকাত ও তার চক্র। তার গ্রেফতারের পরই আলোচনায় আসে আরেক ভয়ঙ্কর নাম-তার বিশ্বস্ত দেহরক্ষী ও অপরাধ সাম্রাজ্যের ছায়া কমান্ডার আশিক তালুকদার। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি শেষে যৌথবাহিনির সফল অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চাঞ্চল্যকর সাবেক সেনাসদস্যকে।

 

গত ২৩ জুন ২০২৫ইং তারিখ, দুপুর আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে কক্সবাজার শহরে একটি গোপন আস্তানা থেকে আশিক তালুকদারকে আটক করে যৌথবাহিনী। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পরে উখিয়ার মরিচ্যা পাতাবাড়ি এলাকার একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি তৈরি এলজি, একে-৪৭ রাইফেলের গুলি, বিপুল পরিমাণ গাঁজা, সামরিক প্রশিক্ষণের বই বিভিন্নরকমের সরঞ্জাম।

 

 

সেনাবাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা যায়,   আশিক তালুকদার ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং চট্টগ্রামের বাইজিদ ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালে দায়িত্বে থাকাকালীনই তিনি পালিয়ে যান এবং মিলিটারি ট্রেনিং ব্যবহার করে সম্পৃক্ত হন মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে।

২০২২ সালে প্রথম গ্রেফতার হন মাদক মামলায়। একই বছর বেনাপোল সীমান্তে অস্ত্র পাচারকালে আবারও অস্ত্র নিয়ে আটক হন। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান ঢাকায়, পরে চলে আসেন কক্সবাজারের উখিয়ায়, যেখানে তার বসতি ছিল মরিচ্যা পাতাবাড়ি এলাকায়।

 

গোয়েন্দা তদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। আশিক তালুকদার তার সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতেন। তাদের শেখাতেন অস্ত্র চালানো, এলাকা নিয়ন্ত্রণ, গ্রুপ মুভমেন্ট ও গুপ্তচরবৃত্তির কৌশল।

 

 

সেখান থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ির ডাকাত শাহিনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে ডাকাত শাহিনের ছায়া সৈনিক হিসেবে আশিক তালুকদার পুরো অপরাধ সাম্রাজ্যের লজিস্টিক ও কৌশলগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। শুধু দেহরক্ষী নয়, ছিলেন অর্থ, অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের প্রধান সমন্বয়কারী।

সীমান্তঘেঁষা গর্জনিয়ায় তার অধীনে কাজ করত সাবেক কয়েকজন সেনা সদস্যসহ একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী গ্রুপ। এ চক্রই আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে, বাংলাদেশ থেকে রসদ ও অস্ত্র সরবরাহ করে মিয়ানমারে, আর বিনিময়ে দেশে আনে গরু, ইয়াবাসহ ভয়ংকর মাদক। এমনকি তার গলায় ছিল মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির– লোগো সম্বলিত টেটু, যা তার সরাসরি সংযুক্তির প্রমাণ বহন করে।

 

 

শুধু অস্ত্র নয়, আশিক তালুকদার সরাসরি জড়িত ছিল নারী পাচার চক্রে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাছাইকৃত সুন্দরী তরুণীদের ডাকাত শাহিনের কাছে সরবরাহ করতেন তিনি। এই ‘সাপ্লাই চেইন’-এর মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতেন আশিক।

 

বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, এই নারী পাচার চক্রে জড়িত সীমান্ত এলাকার আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দালাল। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছেন ডাকাত শাহিনের অন্যন্য সহযোগীদের শনাক্ত ও দ্রুত গ্রেফতারের প্রস্তুতিও চলছে।

 

একজন সাবেক সেনাসদস্য রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র-নারী-মাদক চোরাচালানে জড়িত হওয়াকে প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। চাকরিচ্যুত সেনাদের এমন কর্মকান্ডে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতেও নেমে এসেছে কালো ছায়া।

আশিক তালুকদারকে উখিয়া থানায় হস্তান্তরের পর মামলা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে নিয়ে আরও গভীর তদন্তে নেমেছে

 

নাইক্ষ্যংছড়ি গর্জনিয়া এলাকার সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর এ অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শাহিন ডাকাত ও তার চক্রের দাপটে আতঙ্কে থাকা জনপদে ফিরেছে স্বাভাবিকতা ও নিরাপত্তা।

স্থানীয়দের দাবি মাদক, অপহরণ ও নারী পাচারের ভয়াবহ জাল ভেঙে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার এই ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।

 

সীমান্তে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত সাবেক বাহিনির সদস্যদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির সচেতন নাগরিকরা। তাদের মতে, অপরাধীরা অনেক সময় সরকারি পরিচয় ভাঙিয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধ করছে, এদের বিচার না হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

 

আশিক তালুকদারের গ্রেফতার নিছক একজন ব্যক্তির নয়, বরং এটি ছিল সীমান্তভিত্তিক একটি সুসংগঠিত অপরাধ সাম্রাজ্যের মেরুদণ্ডে চরম আঘাত। সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান শুধু বাহিনির সুনামই রক্ষা করছে না, একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিকে আরও মজবুত করছে।

জনগণের প্রত্যাশা, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা যেন এমন অভিযান অব্যাহত রাখে, সীমান্তকে করে তোলে নিরাপদ ও সন্ত্রাসমুক্ত

পোষ্টটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
© সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত উখিয়া প্রতিদিন-২০২৫ ইং
Site Customized By NewsTech.Com