হাফেজ করিম উল্লাহ হুজুরের বাড়ি থেকে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার, গরু চোরে জড়িত গরু ব্যবসায়ী ফরিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ সোমবার রাত আনুমানিক ৩টায় উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা গ্রামের হাফেজ করিম উল্লাহ হুজুরের বাড়ি থেকে দুটি গরু চুরি হয়ে যায়। সকালে গরুকে খাবার দিতে গিয়ে দেখতে পাই গোয়াল ঘরে দুইটি গরু নেই, তাৎক্ষণিক মসজিদের মাইকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত স্থানীয় জনগণকে বিষয়টি জানান এবং বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করেন। মাইকিংয়ের মাধ্যমে গরুর সন্ধানে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া গ্রামে রাত ৩:৩৪ মিনিটে দুইজন ছেলে দুটি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক তাদের সন্দেহ করেন। উত্তর পুকুরিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা জাগির হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক এবং মেহের আলীর ছেলে ছৈয়দ হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান, গরু দুটি কালু সওদাগরের ভাই ফরিদ সওদাগরের মাধ্যমে চাকবৈঠা কসাই কাসেমের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন,তারা জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ী ফরিদ তাদের লেবার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
ওমর ফারুক জানান, সকালে গরু চুরির বিষয়টি মাইকিং শুনলেই তার সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় এবং তিনি দ্রুত স্থানীয়দের অবগত করেন। এর পর, রুহুল্লার ডেবা এলাকার লোকজন ও ঐএলাকার স্থানীয়রা তারেক ও প্রকাশ কালু নামে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির কাছ থেকে গরুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা জানায়,গরু ব্যবসায়ী গরু চোর ফরিদ আমাদেরকে তার বোনের বাড়িতে গরু দুটি রেখে আসতে বলেন।
এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায়, রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া এলাকার অধ্যাপক বেলাল স্যারের উপস্থিতিতে রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দীন কন্ডাকটর ও রত্নাপালং ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত আবুলু সহ গরু চোর ফরিদের বোনের বাড়ি থেকে গরু দুটি উদ্ধার করেন।
চুরি হওয়া গরুর সন্ধান দাতা ওমর ফারুক ও ছৈয়দ হোসেন সাংবাদিক কে জানান, চুরি হওয়া গরুর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য প্রথমে ৫০ হাজার ও পরে ১লক্ষ টাকার লোভনীয় অফার করেন। তারা সৎ সাহসীকতার সাথে মিত্যার আশ্রয় না নিয়ে চুরি হওয়া গরু উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কসাই কাসেম এবং ফরিদ সওদাগর তাদের বাড়িতে নিয়মিতভাবে গরু জবাই করে অবৈধভাবে কসাইদের মাংস বিক্রি করেন। সরকারি নির্দেশনা না মেনে, তারা নিজেদের বাড়িতে গরু জবাই করেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ধারণা করছেন যে, ফরিদ সওদাগরের নেতৃত্বে গরু চুরি হয় এবং চোরাই গরু চাকবৈটা কসাই কাসেম ও গরু ব্যবসায়ী ফরিদের নিজ বাড়িতে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা নিয়মিতভাবে অবৈধ গরু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।